সবুজ সিলেট ডেস্ক:
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে পুরো দেশ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। রোগী থেকে সংক্রমণের ভয়ে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো সিলেটেও বন্ধ হয়ে গেছে বেশিরভাগ ডাক্তারদের চেম্বার। আর যারা আছে তারাও চেম্বার বন্ধ করার পথে। এমন বাস্তবতায় সাধারণ রোগ-বালাই নিয়েও বিপাকে পড়েছেন মানুষ। তবে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট না থাকায় চেম্বার বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সরেজমিনে সোমবার বিকালে সিলেট নগরীর ডাক্তারপাড়া খ্যাত স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। করোনা আতঙ্কে যখন পুরো দেশ কাঁপছে তখন বেশীরভাগ চেম্বারেই ডাক্তার নেই। কিছু ফার্মেসি আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের দরজা খোলা রাখলেও ডাক্তার না থাকায় নেই রোগীদের দৌড়ঝাঁপ।
শুধু স্টেডিয়াম মার্কেটেই নয়, নগরীর বেশীরভাগ ডায়াগনস্টিকেই ডাক্তাররা তাদের চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন। যারা আছেন তারাও বন্ধ করার পথে। এ অবস্থায় সাধারণ রোগ-বালাই নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন মানুষ। শারীরিক নানা অসুস্থতার কারণে কেউ কেউ ডাক্তারে আসলেও ডাক্তারদের অনুপস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শহরের মানুষত আছেনই সেই সাথে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের। অনেকেই সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডাক্তার দেখাতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার যেসব চেম্বার খোলা তারা ভয়ে সব ধরণের রোগী দেখছেনও না। এমতাবস্থায় প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট নিয়ে ডাক্তারদের চেম্বার খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সকলেই।
তবে করোনা সংক্রমণের এমন দুঃসময়ে ডাক্তারদেরকে মানুষের পাশে থাকার প্রয়োজন; এমনটি স্বীকার করলেও অনেকের চেম্বার বন্ধের কিছু যৌক্তিকতাও তুলে ধরলেন চিকিৎসকরা। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুজিবুল হক এসব যৌক্তিকতা জানিয়ে বলেন, এখনো পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকায় অনেক ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে। সরকার থেকে এখন পিপিই এর কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি বাজারেও কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে আমরাই। কারণ কোন করোনা রোগী না বুঝে সরাসরি আমাদের কাছে চলে আসলে আমরা আক্রান্ত হয়ে যাবো। সুতরাং ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আমরা চেম্বার বন্ধ করে দিচ্ছি।
এ চিকিৎসক আরো বলেন, চিকিৎসক হিসেবে সেবা দেয়া আমদের দায়িত্ব হলেও আমরা আমাদের এবং পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হয়। কারণ যদি আমরা আক্রান্ত হই তাহলে বাসায় যাওয়ার পর আমাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়ে যাবে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে।
এদিকে ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্তের খবরে ডাক্তারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর জন্য রোগীদের অসচেতনতা এবং তথ্য গোপন করাকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষকে কিছু পরামর্শ দিলেন ডাক্তার মুজিবুল হক। তিনি বলেন, করোনা ঝুঁকি এড়াতে রোগীরা যেন অতীত হিস্ট্রি বা পরিবারে কেউ বিদেশফেরত থাকলে তা ডাক্তারকে জানান এবং খুব সমস্যা না হলে ডাক্তারে না গিয়ে ফোনে চিকিৎসা নেয়াটাই উত্তম।
তবে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ইকুইপমেন্ট স্বল্পতার অভিযোগ থাকলেও আশার বানি শোনালেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কেউ প্রস্তুত ছিলো না। তাই হঠাৎ করে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে পিপিই আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া এ তথ্য অনুযায়ী খুব শীঘ্রই আসছে ডাক্তারদের ইকুইপমেন্ট। এতে করে সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্ক যেমন কাটবে তেমনি ডাক্তাররা নির্দ্বিধায় খুলবে তাদের সেবার দরজা।
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে পুরো দেশ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। রোগী থেকে সংক্রমণের ভয়ে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো সিলেটেও বন্ধ হয়ে গেছে বেশিরভাগ ডাক্তারদের চেম্বার। আর যারা আছে তারাও চেম্বার বন্ধ করার পথে। এমন বাস্তবতায় সাধারণ রোগ-বালাই নিয়েও বিপাকে পড়েছেন মানুষ। তবে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট না থাকায় চেম্বার বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সরেজমিনে সোমবার বিকালে সিলেট নগরীর ডাক্তারপাড়া খ্যাত স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। করোনা আতঙ্কে যখন পুরো দেশ কাঁপছে তখন বেশীরভাগ চেম্বারেই ডাক্তার নেই। কিছু ফার্মেসি আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের দরজা খোলা রাখলেও ডাক্তার না থাকায় নেই রোগীদের দৌড়ঝাঁপ।
শুধু স্টেডিয়াম মার্কেটেই নয়, নগরীর বেশীরভাগ ডায়াগনস্টিকেই ডাক্তাররা তাদের চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন। যারা আছেন তারাও বন্ধ করার পথে। এ অবস্থায় সাধারণ রোগ-বালাই নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন মানুষ। শারীরিক নানা অসুস্থতার কারণে কেউ কেউ ডাক্তারে আসলেও ডাক্তারদের অনুপস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শহরের মানুষত আছেনই সেই সাথে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের। অনেকেই সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডাক্তার দেখাতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার যেসব চেম্বার খোলা তারা ভয়ে সব ধরণের রোগী দেখছেনও না। এমতাবস্থায় প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট নিয়ে ডাক্তারদের চেম্বার খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সকলেই।
তবে করোনা সংক্রমণের এমন দুঃসময়ে ডাক্তারদেরকে মানুষের পাশে থাকার প্রয়োজন; এমনটি স্বীকার করলেও অনেকের চেম্বার বন্ধের কিছু যৌক্তিকতাও তুলে ধরলেন চিকিৎসকরা। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুজিবুল হক এসব যৌক্তিকতা জানিয়ে বলেন, এখনো পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকায় অনেক ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে। সরকার থেকে এখন পিপিই এর কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি বাজারেও কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে আমরাই। কারণ কোন করোনা রোগী না বুঝে সরাসরি আমাদের কাছে চলে আসলে আমরা আক্রান্ত হয়ে যাবো। সুতরাং ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আমরা চেম্বার বন্ধ করে দিচ্ছি।
এ চিকিৎসক আরো বলেন, চিকিৎসক হিসেবে সেবা দেয়া আমদের দায়িত্ব হলেও আমরা আমাদের এবং পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হয়। কারণ যদি আমরা আক্রান্ত হই তাহলে বাসায় যাওয়ার পর আমাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়ে যাবে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে।
এদিকে ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্তের খবরে ডাক্তারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর জন্য রোগীদের অসচেতনতা এবং তথ্য গোপন করাকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষকে কিছু পরামর্শ দিলেন ডাক্তার মুজিবুল হক। তিনি বলেন, করোনা ঝুঁকি এড়াতে রোগীরা যেন অতীত হিস্ট্রি বা পরিবারে কেউ বিদেশফেরত থাকলে তা ডাক্তারকে জানান এবং খুব সমস্যা না হলে ডাক্তারে না গিয়ে ফোনে চিকিৎসা নেয়াটাই উত্তম।
তবে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ইকুইপমেন্ট স্বল্পতার অভিযোগ থাকলেও আশার বানি শোনালেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কেউ প্রস্তুত ছিলো না। তাই হঠাৎ করে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে পিপিই আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া এ তথ্য অনুযায়ী খুব শীঘ্রই আসছে ডাক্তারদের ইকুইপমেন্ট। এতে করে সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্ক যেমন কাটবে তেমনি ডাক্তাররা নির্দ্বিধায় খুলবে তাদের সেবার দরজা।