তাহিরপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল(দ.) ইউনিয়নের জানখালি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করার কারণে হুমকির মুখে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তার পার্শ্ববর্তী বসতভিটা। আর এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় এক যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার বড়দল(দ.) ইউনিয়নের হলহলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জানখালি নদী থেকে একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির আলী সরকারের ছোট ভাই ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মুক্তার মিয়া(৩০)।
স্থানীয়দের বাধার পরও সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে জানখালি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে গত এক মাস যাবত বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করছে আসছে, এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর ।
আর ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে হলহলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ নদীর দুই পাড়ের প্রায় ১৫/২০টি বসত ঘর।
বালু খেকো মুক্তার মিয়া প্রভাবশালী স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি হওয়ায় গত একমাস ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলতেও সাহস পাচ্ছেনা কেউ।
হলহলিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমার বসত ঘরের সামনে থেকে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি মুক্তার মিয়া। এর প্রতিবাদ করলে চলে অত্যাচার আর নির্যাতন। সে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করবে আমাকে।
ড্রেজার মালিক দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মুক্তার মিয়া ড্রেজার দিয়ে জানখালি নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে সংবাদ না করার জন্য বলেন এবং প্রতিবেদকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করা সুযোগ চান।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। যদি কেউ ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।